ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিস হল দ্রুত বর্ধনশীল জীবনধারণের ব্যাঘাতের এক যা কার্যকরী কয়েকটি জীবনধারণের পরিবর্তনগুলি এবং একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়ার সাথে কার্যকরভাবে পরিচালিত হতে পারে। শরীরের উচ্চ রক্ত শর্করার মাত্রা দ্বারা চিহ্নিত, এই অবস্থায় ইনসুলিন উত্পাদন বা ইনসুলিন কার্যকরভাবে ব্যবহার করার শরীরের ক্ষমতা প্রভাবিত করে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক চিকিত্সা বিকল্প আছে যদিও,ঘরোয়া  প্রতিকার  বিস্ময়ের কাজ করতে পারে। আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে এবং ডায়াবেটিসের সঙ্গে সুস্থ জীবন যাপন করার জন্য এখানে শীর্ষ 10 টি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে।
# 1  তুুলসী পাতা:

       
তুলসী পাতাগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অপরিহার্য তেল দিয়ে সজ্জিত হয় যা ইগেনোল, মিথাইল ইউজেনোল এবং কেরোওফিলিন উৎপন্ন করে। একসঙ্গে এই যৌগগুলি প্যানক্রিয়টিক বিটা কোষগুলি (কোষ যা ইনসুলিন সঞ্চয় করে এবং মুক্তি দেয়) সঠিকভাবে কাজ করে এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে। একটি অতিরিক্ত সুবিধা হল যে পাতাগুলিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি অক্সিডেটিভ চাপের মারাত্মক প্রভাবকে সাহায্য করে।
টিপস: রক্তের শর্করার মাত্রা কমানোর জন্য খালি পেটে দুই থেকে তিন তুলসী পাতা সম্পূর্ণ বা তার রসের এক চা চামচ  পরিমাণে পান করুন।
# 2   বিলবারী উদ্ভিদের পাতা:

বহু শতাব্দী ধরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য  বিলবারী এর  পাতাগুলি আয়ুর্বেদে ব্যবহার করা হয়েছে। সম্প্রতি, জার্নাল অব নিউট্রিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে বিলবারী উদ্ভিদের পাতাটিতে অ্যান্টোকেনিডিন বেশি পরিমাণে থাকে, যা গ্লুকোজ পরিবহন এবং চর্বি বিপাক জড়িত বিভিন্ন প্রোটিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এই অনন্য সম্পত্তি কারণে, bilberry পাতা রক্তে  শর্করার মাত্রা কমানর  একটি দুর্দান্ত উপায়।
টিপ: একটি মর্টারে বিলবারী উদ্ভিদের পাতা পিশে খালি পেটে প্রতিদিন এই এক্সট্র্যাক্টের 100 মিলিগ্রাম সেবন করুন।
# 3 দারুচিনি:

 এটি দালচিনি নামেও পরিচিত, এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা এবং রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা উন্নত করে। প্রতিদিন দারুচিনি ½ চা চামচ হিসাবে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নতি এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
টিপ: রক্তের শর্করার মাত্রা কমানোর জন্য মাসে মাসে প্রায় 1 গ্রাম দারুচিনি আপনার প্রতিদিনের খাবারে অন্তর্ভুক্ত করুন।
# 4 সবুজ চা:

অন্য চা পাতা থেকে ভিন্ন, সবুজ চা নিষ্ক্রিয় এবং polyphenol কন্টেন্ট উচ্চ। Polyphenol একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং হিপো-গ্ল্যাসিক যৌগ যা রক্তের শর্করার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং শরীরকে ইনসুলিনকে আরও ভালভাবে ব্যবহার করতে সাহায্য করে।
টিপ:  2-3 মিনিটের জন্য সবুজ চা এর এক ব্যাগ গরম পানিতে সিদ্ধ করুন । সকালে বা আপনার খাবার আগে এই চা এক কাপ পান করুন ।
# 5 ড্রামস্টিক পাতা:

এছাড়াও একে  মরিয়ানা বলা হয়, এই উদ্ভিদের পাতা সেরা তাদের শক্তি উৎপাদন করার ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত। ডায়াবেটিকসের ক্ষেত্রে, ড্রামস্টিক পাতাটি ভারসাম্য বজায় রাখে এবং খাদ্য এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
টিপ: কয়েকটি  ড্রামস্টিকের পাতা নিয়ে ধুয়ে নিন এবং তাদের রস বের করুন। এখন এই রসের 1/4 তম কাপ নিয়ে নিন এবং আপনার শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রতিদিন সকালে একটি খালি পেটে পান করুন।
# 6 সাইিলিয়াম হস্ক (ইসুবগুল):

 এটি  রক্ত গ্লুকোজ ভাঙ্গন এবং শোষণ কমায় । ইসুবগুল এছাড়াও আলসার এবং acidity থেকে পেট আস্তরণে রক্ষা করে।
টিপ: প্রতিদিন  খাবারের পর ইসুবগুল পান করুন, বিশেষ করে দুধ বা পানি দিয়ে।এতি রক্তে গ্লুকোজ কমাতে কার্যকরী ।
# 7 করেলা:

 ডায়াবেটিক্সের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী বলে পরিচিত, চ্যাটিন এবং ম্যামরডিসিন নামক দুটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যৌগের কারণে, যা রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ।
টিপ: এক সপ্তাহে  অন্তত একবার একটি সাবজি বা কারি হিসাবে করালা খান। যদি আপনি দ্রুত ফলাফল চান, তিন দিনের মধ্যে একবার খালি পেটে এক গ্লাস করলার জুস খাওয়ার  চেষ্টা করুন।
# 8 নিম:

দেশে প্রায় এটি পাওয়া যায়,এই  তিক্ত পাতার বেশ কয়েকটি আশ্চর্যজনক ঔষধি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিম ইনসুলিন রিসেপ্ট্রের  সংবেদনশীলতা বাড়ায়, রক্তের বাহক রক্তপাতের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে, রক্তে গ্লুকোজ মাত্রা কমে যায় এবং একজনের নির্ভরশীল হ্রাস পায়।